কাঁচাবাজারে শসার সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে মরিচের ডাবল সেঞ্চুরি

প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২৪, ০২:৪৭ পিএম
শেয়ার করুন:  
কাঁচাবাজারে শসার সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে মরিচের ডাবল সেঞ্চুরি

দেশজুড়ে ডেস্কঃ ঈদুল আজহার ছয় দিন পরেও অস্বাভাবিক দামে বিক্রি হচ্ছে শসা কাঁচা মরিচ। এছাড়া টমেটো গাজরও বিক্রি হচ্ছে লাগামহীন দামে।

রবিবার (২৩ জুন) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বাজার উপজেলার আঠারবাড়ি ইউনিয়নের রায়ের বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঈদের তিনদিন আগে যে শসার দাম ছিল ৪০-৫০ টাকা, ঈদের আগের দিন থেকে ঈদের ষষ্ঠ দিনেও সেই শসা বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকা। এদিকে কাঁচামরিচ এক লাফে দাম বেড়ে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকায়। অপরদিকে সেঞ্চুরি পার করেছে টমেটো গাজরও। টমেটো গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি দামে।

ক্রেতাদের অভিযোগ, উপলক্ষ পেলেই অসাধু ব্যবসায়ীরা কায়দা করে এসব কাঁচামালের দাম বাড়িয়ে বাড়তি মুনাফা হাতিয়ে নেয়। তারা আরও বলেন, প্রশাসনের উচিত ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে সপ্তাহ খানেক পর পর্যন্ত বাজারে কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা করা।

বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম একটু বেশি। তবে কাঁচা মরিচ শসার দাম আগে আরও বেশি ছিল, এখন কিছুটা কমেছে।

ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বাজারের এক সবজি বিক্রেতা বলেন, চাহিদার তুলনায় আমদানি কম যে কারণে শসা কাঁচা মরিচের দাম বেশি। আমরা বেশি দামে কিনলে বেশি দামে বিক্রি করি। আর কম দামে কিনলে কম দামে বিক্রি করি। এতে আমাদের কোনো হাত নেই।

আরেক সবজি বিক্রেতা জানান, ঈদ উপলক্ষে চারিদিকে বিয়ে-শাদি সামাজিক নানান অনুষ্ঠান বেশি হচ্ছে। এতে সালাদ জাতীয় সবজিগুলোর চাহিদা বেশি, কিন্তু সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি।

তিনি আরও বলেন, একটা বিয়ের প্রোগ্রামের জন্য কমপক্ষে ২০-২৫ কেজি শসার চাহিদা থাকে। কিন্তু সারা বাজার মিলিয়ে মণ শসা মেলাতে পারবেন কিনা সন্দেহ আছে। কারণেই দাম বেশি।