গরমে সাপের উপদ্রব যে কারণে বেড়ে যায় বলছেন বিশেষজ্ঞরা
প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২৪, ০২:১০ পিএম

নিউজ ডেস্কঃ গ্রীষ্মকাল আসতেই বেড়ে যায় গরমের প্রকোপ। তীব্র গরমে নাজেহাল হয়ে যায় জনজীবন। আর গরমের সময়ে বেড়ে যায় সাপের উপদ্রব। দাবদাহে বিষাক্ত সাপও সক্রিয় হয়ে ওঠে। বিবিসির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে গরমে সাপের উপদ্রব বেড়ে যাওয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়। সাপ নিয়ে কাজ করে এমন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশ। তারা বলছে, দেশে বর্তমানে সাপের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গিয়েছে। এ সময়ে মানুষকে সতর্ক থাকার কথাও বলছে সংগঠনটি।
সংগঠনটির সহ-সভাপতি মো. জোবাইদুর রহমান বলেন, তারা বেশ কয়েকবছর যাবত সাপে কাটা নিয়ে সচেতনতা তৈরি এবং সাপ উদ্ধারে কাজ করছেন। গত বছরের তুলনায় এবার সাপে কাটার প্রবণতাও বেশি দেখা যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। অন্যদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যার অধ্যাপক অধ্যাপক মনিরুল খান বলেন, সাপ ঠান্ডা রক্তের প্রাণী। গ্রীষ্মকালে সাপ বেশি সক্রিয় থাকে এবং শীতকালে কম সক্রিয় থাকে।আমাদের দেশের কথা চিন্তা করলে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসের কয়েক সপ্তাহ বাদ দিলে, সাপ সাধারণত পুরো বছর সক্রিয় থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের এমোরি ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক সাপের আচরণের সঙ্গে গরমের সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করেছেন। গবেষণায় তারা বলেছেন, তাপমাত্রা শূন্য দশমিক আট ডিগ্রি ফারেনহাইট বাড়লে সাপের কাটার হার ছয় শতাংশ বৃদ্ধি পায়। গবেষণাটি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ায়। প্রায় সাত বছর ধরে এই গবেষণা চালানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া এবং কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যে সাপের কামড়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস ডিপার্টমেন্ট অব পার্কস এন্ড ওয়াইল্ড-লাইফ বলছে, সাপ হচ্ছে ঠান্ডা রক্তের প্রাণী। সাপ তীব্র ঠান্ডাও সহ্য পারেনা। তখন তারা হাইবারনেশনে চলে যায় গর্তের ভেতরে। অন্যদিকে, তীব্র গরমও এড়িয়ে চলে সাপ। তাপমাত্রা যখন তীব্র হয় তখন সাপ খুব ভোরে, সন্ধ্যায় এবং রাতে চলাচল করে। তখন তারা খাবারের জন্য সক্রিয় হয়।
গবেষকরা বলছেন, অতিরিক্ত গরমের সময় সাপ ছায়া, অন্ধকার, আর্দ্রতা ও খাবার খোঁজে। সাপ নিজেকে ঠান্ডা রাখার জন্য আর্দ্র পরিবেশ খোঁজে। সেজন্য অনেক সময় তারা মানুষের ঘরের আশপাশে চলে আসতে পারে। যেসব বাসায় এ ধরনের পরিবেশ থাকে সেখানে সাপের আনাগোনা হতে পারে। এ ধরনের পরিবেশ না থাকলে সেখানে সাপ আসার সম্ভাবনা খুবই কম। সাপ খোলামেলা জায়গায় এবং উন্মুক্ত অবস্থানে থাকতে খুবই অপছন্দ করে।