অনিয়ম হলে ভোট বন্ধ, প্রয়োজনে ১০ বার ভোট নেব: সিইসি

প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:০৩ পিএম
শেয়ার করুন:  
অনিয়ম হলে ভোট বন্ধ, প্রয়োজনে ১০ বার ভোট নেব: সিইসি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: ভোটকেন্দ্রে কারচুপি বা অনিয়মের ঘটনা ঘটলে ওই কেন্দ্রে তাৎক্ষণিক ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ওই কেন্দ্রের ভোট আরেকবার নেব, প্রয়োজনে ১০ বার ভোট নেব।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহের টাউন হল অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোণার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ভোট এক জায়গায় দিলে আরেক জায়গায় চলে যাবে এটার কোন সুযোগ নেই, এগুলো ভ্রান্ত প্রচারণা। ভোটের দিন একটি মাত্র কেন্দ্রে কারচুপি হলেও ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ভোটের আগের ১৫ দিন কি হলো না হলো সেটা কিছুদিন পর মানুষ ভুলে যাবে। কিন্তু ভোটের দিন ফলাফল কি হলো, পোলিংয়ের মধ্যে কারচুপি হলো কিনা, জবরদস্তি সিল মারা হলো কিনা, এরকম কোনও ঘটনা ঘটলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। তবে এবার এ ধরনের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কম।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রতি কেন্দ্রে ১৫ থেকে ১৬ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য থাকবে। আনসার ও ভিডিপি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে। তারা ১২ জন থাকবে, তাদের মাঝে কেউ কেউ সশস্ত্র অবস্থায় থাকবে। কেন্দ্রে বিভিন্ন বাহিনীর লোকজন থাকবে। যদি শুধু ১২ জন পুলিশ সদস্য থাকত, তাহলে প্রার্থীরা পুলিশকে হাত করতে পারত। কিন্তু কেন্দ্রে যদি ৫টি বাহিনীর লোক থাকে, তাহলে কাউকে হাত করতে পারবে না। কাজেই সেখানে পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র‌্যাব থাকবে। আর স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী থাকবে। কাজেই কেন্দ্রের বাইরের যে অংশ, তা পুরোপুরি সংরক্ষিত থাকবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাঁচটা বাহিনীর লোক থাকলে সবাইকে হাত করা যায় না। আনসার, পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনীসহ ১৫-১৬ জন আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য কেন্দ্রের বাহিরের ভারসাম্য রক্ষা করবে। কিন্তু কেন্দ্রের ভেতরের ভারসাম্য রক্ষা করতে ব্যর্থ হলে রিটার্নিং অফিসারকে দায়-দায়িত্ব নিতে হবে। তখন প্রিজাইডিং অফিসারকে সঙ্গে সঙ্গে ভোট বন্ধ করে দিতে হবে। ওই কেন্দ্রের ভোট প্রয়োজনে দশবার নিতে হবে।

বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, রেঞ্জ ডিআইজি শাহ আবিদ হোসেন, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞাসহ ৬ জেলার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে তিনি নগরীর ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে জেলার সকল সংসদীয় আসনে প্রার্থীগণের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।



এইচ কে