ক্রেডিট কার্ড ও ঋণের কিস্তি পরিশোধে থাকছে না জরিমানা

প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:১১ পিএম
শেয়ার করুন:  
ক্রেডিট কার্ড ও ঋণের কিস্তি পরিশোধে থাকছে না জরিমানা

নিউজ ডেস্ক: অস্বাভাবিক এক পরিস্থিতি কাটিয়ে তিনদিন পর খুলেছে দেশের সব ব্যাংক। তবে এখনও পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়নি কারফিউ। পরিস্থিতি বিবেচনায় তা প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা জানিয়েছে সরকার।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শুক্রবার থেকে প্রায় অচল হয়ে পড়েছে দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা। ইন্টারনেট না থাকায় বুথ থেকে টাকা তোলা, জমা দেয়া কিছুই করতে পারছেন না গ্রাহকরা। ফলে বুধবার ব্যাংকিং লেনদেন শুরু হলে উপচেপড়া ভীড় দেখা যায় ব্যাংকের শাখাগুলোতে। এমন পরিস্থিতিতে অনেক গ্রাহকই তাদের ক্রেডিট কার্ডের বিল, ঋণের কিস্তি কিংবা ডিপিএসের টাকা সময়মতো জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংক চাইলে গ্রাহকদের নির্দিষ্ট হারে জরিমানা করতে পারবে।

তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, অস্বাভাবিক এই পরিস্থিতি বিবেচনায় গ্রাহকরা সময়মতো বিল পরিশোধ করতে না পারলেও তাদেরকে জরিমানা করা যাবে না। সুযোগ দেয়া হয়েছে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এসব বকেয়া পরিশোধ করার।

বুধবার বাড়তি কোনো সুদ ছাড়াই গ্রাহকদের অর্থ পরিশোধে ব্যবস্থা নিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেয়া হয়েছে এমন নির্দেশনা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, কারফিউ ও সাধারণ ছুটির সময়ে যাদের ঋণের বকেয়া, ক্রেডিট কার্ডের বিল ও সঞ্চয়ী আমানতের কিস্তি দেয়ার সময় ছিলো তারা জুলাই মাসের শেষদিনের মধ্যে তা পরিশোধ করতে পারবেন। ১৮ থেকে ২৫ জুলাই সময়ে বকেয়া হওয়া কিস্তির জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কোনো ধরনের বাড়তি সুদ, জরিমানা, বিলম্ব মাশুল চার্জ করতে পারবে না। তাছাড়া এই সময়ে কিস্তির টাকা দিতে না পারলে কোনো সঞ্চয় স্কিম বাতিলও করা যাবে না বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, গ্রাহকদের স্বার্থ আর বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। গেল কয়েকদিন গ্রাহকরা চাইলেও ব্যাংক কিংবা বুথের মাধ্যমে কোনো অর্থ জমা করতে পারেননি। আবার অনেকের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক পরিস্থিতির জন্য তাদের হাতে সময়মতো অর্থ আসতে পারেনি। এসব পরিস্থিতিতে যেসব গ্রাহক পড়েছেন তাদের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নির্দেশনা স্বস্তিদায়ক হবে বলেও আশা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।